Your lie in April / শিগাতসুয়া কিমিনো
এপিসোডঃ ২২
জনরাঃ Shonen
অ্যানিমে ডিরেক্টরঃ কিউহেই ইশিগুরো
অ্যানিমে রাইটারঃ তাকাও ইয়োশিওকা
Rating: 7/10
গল্পের নায়ক কাউসেই আরিমা একজন পিয়ানিস্ট।ছোটো থেকেই সে শুধু জিততে শিখেছে। সে যেন এক যন্ত্রমানব, যার একমাত্র কাজ হচ্ছে নিখুঁত পিয়ানো বাজানো। আর তাকে এভাবে তৈরি করেছেন তার মা সাকি আরিমা। তার মা নিজেও পিয়ানোবাদক ছিলেন। সাকি তার ছেলেকে এক নিখুঁত পিয়ানোবাদক হিসেবে তৈরি করেছিলেন। এজন্য তিনি কাউসেইকে কড়া শাসন করতে, এমনকি শারীরিকভাবে জখম করতেও পিছপা হননি। আর এভাবেই মায়ের বদ্ধসংস্কারের কারণেই কাউসেই মাত্র এগারো বছর বয়সেই হয়ে উঠে এক সর্বজয়ী পিয়ানোবাদক।
কিন্তু কাউসেই বেশি দিন তার মায়ের সান্নিধ্য পায়নি। কাউসেই এর বয়স যখন এগারো, তখন তার মা মারা যায়। আর মায়ের মৃত্যুর জন্য কাউসেই নিজেকেই দোষারোপ করতে থাকে। মায়ের মৃত্যুর সাথে যেন কাউসেই এর প্রতিভারও মৃত্যু ঘটে। শত চেষ্টা করেও কাউসেই পিয়ানো বাজাতে পারতো না। নিজের বাজানো পিয়ানোর সুর যেন সে শুনতে পায় না। মায়ের মৃত্যু তাকে পুরোপুরি বিপর্যস্ত করে ফেলে। সে আশাহত হয়ে পড়ে। তার দিগভ্রান্ত জীবনের সূচনা হয়।
এভাবে কেটে গেল ৩ বছর। তারপর কাউসেই এর জীবনে এলো কাউরি মিয়াজোনো। কাউরি ছিলো একজন বেহালাবাদক। কাউসেই এর বিবর্ণ জীবনকে রঙিন করে তোলে কাউরি। কাউরির উচ্ছলতা, লাবণ্য এবং প্রাণবন্ততা কাউসেইকে আকৃষ্ট করে। কাউসেই তাকে ভালোবেসে ফেলে।
কিন্তু কাউরি ছিল দূর আকাশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যাকে কাছে যাওয়ার ক্ষমতা কাউসেই এর ছিল না। কেননা কাউরি হচ্ছে কাউসেই এর সবথেকে কাছের বন্ধু ওয়াটারির প্রেমিকা। অন্যদিকে আবার কাউসেই এর ছোটবেলার বান্ধবী টুসাবাকি কাউসেইকে পছন্দ করে, কিন্তু কাউসেই সেটা জানে না। অর্থাৎ সিরিজের মাঝ পর্যায়ে এসে একটি চতুর্ভুজ প্রেম কাহিনীতে রূপ নেয়।
কাউরির সান্নিধ্য কাউসেইকে আবারো সঙ্গীতের দিকে ধাবিত করে। কাউসেই এবার কাউরির বেহালার সাথে পিয়ানো বাজানো শুরু করে।সঙ্গীতের মাধ্যমে তারা নিজেদের আরো কাছাকাছি এসে পরে। কাউসেই আবারো প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
কাউসেই কি আবারো নিজের হারানো প্রতিভা ফিরে পাবে? টুসাবাকি কি কাউসেইকে তার মনের কথা জানাতে পারবে? কাউরি কি এভাবেই সবসময় কাউসেই এর পাশে থাকবে, নাকি সেও কাউসেইকে ছেড়ে চলে যাবে?
জানতে হলে ২২ এপিসোডের এই অ্যানিমেটির শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে।
আমাদের জীবন অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী। এই জীবনের একদিকে যেমন আছে ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, সাফল্য তেমনি অপরদিকে রয়েছে বেদনা, রিক্ততা ও ব্যর্থতা। একটি ছাড়া অপরটির কোনো অস্তিত্ব নেই।এটা মেনে নিয়েই আমাদের সামনের দিকে এগোতে হবে। নিজের জন্য না হলে নিজের প্রিয়জনদের জন্য হলেও আমাদের বেঁচে থাকতে হবে।এটাই হচ্ছে জীবনের সার্থকতা। জীবনের মানে খুঁজে ফেরা মানুষদের জন্য এই অ্যানিমেটি দেখার অনুরোধ রইল।